নিজস্ব প্রতিবেদক – চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ২নং সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাঁও এলাকায় ঝিনঝি ফকির শাহ মাজার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির উপর পরিকল্পিত হামলা করেন একটি গোষ্ঠী।জানা যায়,দীর্ঘ অনেক বছর ধরে হযরত জিনজি ফকির শাহ(রহ:) মাজার ও মসজিদ নাগু মিয়ার পুর্ব পুরুষরা পরিচালনা করে আসছেন।
বর্তমান মতোয়াল্লী নাগু মিয়া। গত ১৩ মে স্থানীয় এলাকার একটি মহল ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস ও তার ভাইপো দিলদার এইছ রানা মো: বেলাল, ইব্রাহীম, মো জসিম সহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জন লোক মাজার ও মসজিদ দখলের উদ্দেশ্যে মাজারের যাতায়াতের রাস্তার গাছ কেটে ফেলে।
মাজার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বাধা দিলে তারা রাম দা, কিরিছ লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এতে করে মসজিদ ও মাজার মতোয়াল্লী পরিবারের অনেকে মারাত্মকভাবে আহত হয়।এই ঘটনায় আহত হন মোরসালিন উদ্দিন,বশর আহমদ,রফিক আহমেদ সহ মোট ছয়জন।
পরবর্তীতে গত ১৫ মে কুলছুমা আক্তার নামে এক ভূক্তভোগী বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার এজহারে বলা হয়,রাস্তার পাশে থাকা মাজার কমিটির নিয়ন্ত্রণাধীন গাছ কাটতে বাঁধা দেওয়ায় একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী দা কিরিচ,লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের উপর হামলা চালায়”।এছাড়াও গত ১৪ মে সকাল আনুমানিক ১০
ঘটিকায় মাজার ও মসজিদে হামলা চালিয়ে ওই মাজারের মতোয়াল্লী ও ইমাম সাহেবকে মারধর করে বের করে দিয়ে মাইক,মোটর,মিটার,ব্যাটারি ফ্যান গ্রিল, ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যায় নগদ টাকা সহ বেশকিছু জিনিসপত্র।অংকের হিসাবে যার পরিমান দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা।এই ঘটনায় পরবর্তীতে গত ২০ মে মাজার মসজিদের মতোয়াল্লির তৃতীয় সন্তান নাছির আহমেদ বাদী হয়ে বাশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।আহত মোরসালিন উদ্দিন, বশর আহমদ ও রফিক আহমেদ সহ সকলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”উল্লেখ্য, এ হামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ