মঙ্গলবার , ৩ জুন ২০২৫ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলাম
  7. ঈদুল ফিতর
  8. ক্রিকেট
  9. খেলা-ধুলা
  10. জাতীয়
  11. দুর্ঘটনা
  12. ফুটবল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি

কেএনএফ ইউনিফর্ম তৈরির কাপড় উদ্ধার: সাবেক এমপি ছালামের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রতিবেদক
Inside News
জুন ৩, ২০২৫ ১:৪৯ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

০২ জুন (সোমবার) রাত ৯টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকার ‘ওয়েল ফেব্রিক্স এন্ড ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেড’নামের একটি কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে জব্দ করা কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহজনক ইউনিফর্ম তৈরির জন্য রোলিং করা কাপড়।

জানা গেছে,চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন ওয়েল গ্রুপের অধীন কারখানা এই ওয়েল ফেব্রিক্স লিমিটেড। সেখান থেকেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহজনক ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড়। এ ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আবদুচ ছালামের ছোট ভাই তারিকুল ইসলামসহ চারজনকে।
পুলিশের ভাষ্য, পোশাকগুলো কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল কি না, তা যাচাই-বাছাই চলছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।তবে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে, গ্রেফতারক্রেতরা ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামের ভাই তারিকুল ছাড়াও গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন— প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, জামালুল ইসলাম ও মো. আতিকুর রহমান।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের পরিচালক তারিকুল ইসলাম। ওয়েল ফেব্রিক্স লিমিটেডের মালিক প্রতিষ্ঠান ওয়েল গ্রুপ। যেটি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মো. আবদুচ ছালামের পারিবারিক মালিকানায় থাকা শিল্পগোষ্ঠী। সবশেষ তিনি ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় কুকি-চিনের পোশাক উদ্ধার সংক্রান্ত একটি মামলা আছে। সেই মামলার সূত্রে ওয়েল ফেব্রিক্সে অভিযান চালানো হয়েছে। চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কুকি-চিনের পোশাক তৈরির জন্য ফেব্রিক্সগুলো ওই কারখানা থেকে সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে রাতে পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, জব্দ করা পোশাকগুলো পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের ইউনিফর্ম। মহালাসিন মারমা নামের এক ‘সন্ত্রাসী’ ৫০ লাখ টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো তৈরি করতে দিয়েছিলেন।

এর আগে ২৬ মে রাতে নগরের অক্সিজেন নয়াহাট এলাকার একটি কারখানা থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি ইউনিফর্ম উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া ১৭ মে রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ২০ হাজার ৩০০টি সন্দেহজনক পোশাক জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ওই ঘটনায় করা মামলার এজাহারে পুলিশ বলেছে, দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো প্রস্তুতের ফরমাশ নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পোশাক কারখানাটির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অন্য দুজন পোশাকগুলো তৈরির ফরমাশ এনেছিলেন।

ফেসবুকে পেজ খুলে দু-তিন বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কেএনএফ। পাহাড়ের দুই জেলার ৯টি উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণাও দেয় তারা। সংগঠনটির বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি ও হত্যার অভিযোগ উঠতে থাকে শুরু থেকেই। একপর্যায়ে কেএনএফের বিরুদ্ধে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের সশস্ত্র সংঘাত হয় কয়েকবার। পাহাড়ের দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতিও করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বান্দরবানের দুই উপজেলায় ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতির ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

সর্বশেষ - সারাদেশ