মঙ্গলবার , ৩ জুন ২০২৫ | ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলাম
  7. ঈদুল ফিতর
  8. ক্রিকেট
  9. খেলা-ধুলা
  10. জাতীয়
  11. দুর্ঘটনা
  12. ফুটবল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি

চট্টগ্রামের হাজী পাড়া, ১০ বছর ধরে জলাবদ্ধতায় বন্দি ৩৫০ পরিবার

প্রতিবেদক
Inside News
জুন ৩, ২০২৫ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

আবুল হাসনাত,চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ থানার হাজী পাড়া এলাকা যেন কোনো সাগরের মাঝখানে এক দ্বীপ। এবার চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকায় টানা বৃষ্টিতে পানি না থাকলেও, হাজী পাড়ায় বর্ষা আসতেই দ্বিগুণ মাত্রায় পানি জমেছে। সারা এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, পথঘাট যেন খাল-বিল। নাগরিক জীবন এখানে হয়ে উঠেছে পানির সঙ্গে লড়াইয়ের আরেক নাম।

সড়ক উন্নয়ন, ড্রেন নির্মাণ কিংবা খাল খননের নামে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসী জানান, একটু বৃষ্টি হলেই শিশুদের স্কুলে পাঠানো সম্ভব হয় না, রান্না করে খাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে না। দিনের পর দিন পানির মধ্যে হাঁটতে হয়, ঘরের মেঝে শুকাতে শুকাতে আবার নতুন পানি এসে পড়ে। এই অব্যবস্থাপনা যেন শহরের মাঝখানে এক পরিত্যক্ত অঞ্চল তৈরি করেছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও সিটি করপোরেশন সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় খাল খনন ও ড্রেন উন্নয়নের কাজ করছে। এতে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখা যাচ্ছে। তবে এই ছোট ছোট এলাকায় যথাযথ নজরদারি ও পরিকল্পনা না থাকায় সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজী পাড়া। এখানেও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যেত এটাই স্থানীয়দের অভিমত।

টানা ভারি বর্ষণে হাজী পাড়া এলাকায় পানিবন্দী ৩৫০ এর বেশি পরিবার। মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল একেবারে পানির নিচে ডুবে আছে,কোমর সমান পানি। মুসল্লিরা নামাজে যেতে পারছেন না, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পৌঁছাতে পারছে না। এমনকি কেউ মারা গেলে মৃতদেহ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী বলছেন, এটি কেবল দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নয়।

হাজী পাড়াবাসীর একটাই দাবি অবিলম্বে স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। বর্তমানে সরকার ও সিটি করপোরেশন যে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তা যেন এই উপেক্ষিত এলাকাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কাজ শুরুর দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

সর্বশেষ - সারাদেশ