ইনসাইড ডেস্ক |
জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
সুত্রমতে যানাযায় , জামায়াতের এই নেতার খালাসের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’ প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি আহ্বান করে। একই সময় সেখানে পাল্টা কর্মসূচি দেয় ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’ নামের একটি সংগঠন। প্রথমে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলেও পরে উত্তেজনা বাড়ে এবং একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ব্যানার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি— ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’র কর্মীরা ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’র নেতাকর্মীদের ওপর প্রথমে হামলা চালায়। এ সংঘর্ষে এক নারীসহ অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘর্ষে আহত এক নারী ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’র নেত্রী পুস্পিতা নাথ বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইদুল হক জানিয়েছেন, চটগ্রাম শাখার সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া, সেক্রেটারি একান্ত বিশ্বাস, অর্থ সম্পাদক সুদিপ্ত গুহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক রিশাদ আহমেদ, নগর ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি রিপা মজুমদার ও ছাত্রফ্রন্টের নগর শাখার সদস্য অর্পিতা নাথ আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, বিকেল ৪টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, চেরাগি মোড় থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল লোক প্রেস ক্লাবের দিকে এগিয়ে আসেন। সিকদার হোটেলের সামনে একজনকে মারধর করতে দেখা যায়, যাঁরা ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’র কর্মী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ— হামলাকারীদের মধ্যে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরাও ছিলেন। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম সাংবাদিকদের কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
এদিকে, সংঘর্ষের সময় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত ছিলেন ‘জুলাই ঐক্য চট্টগ্রাম’র প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান এবং ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র নেতা তওসিফ ইমরোজ।
আবরার হাসান বলেন, ‘একজন জামায়াত নেতার রায় নিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের কিছু কর্মী দাঁড়িয়েছিল। একই সময়ে শাহবাগবিরোধী কর্মীরাও স্লোগান দিচ্ছিল। পুলিশ শান্ত রাখতে চেষ্টা করলেও কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।’